মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরেজমিনে রাজধানীর নানা জায়গা ঘুরে দেখা যায়, স্থায়ী দোকান থেকে অস্থায়ী চৌকিতে ফুলের পশরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।
পসরা সাজিয়ে বসা ফুল বিক্রেতাদের কেউ কেউ পেশাদার ফুল ব্যবসায়ী, কেউবা ভালোবাসা দিবস ও ফাল্গুনকে সামনে রেখে দুই দিনের ফুলের ব্যবসায় নেমেছেন।
এদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিয়াম বলেন, বন্ধুরা মিলে ঠিক করেছি একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফুলের ব্যবসা করবো। কালকের জন্য ইতোমধ্যে সকালে শাহবাগ থেকে ফুল কিনে দুপুরের মধ্যে চৌকি সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছি।
খিলগাঁও তালতলার ফুল ব্যবসায়ী আমিনুল বলেন, মূলত এই দুই দিনই ফুলের ব্যবসা হয়। ভালো মানের প্রতিপিস গোলাপ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ গোলাপ ৬০ আর সাজিয়ে দিলে প্রতিপিস গোলাপের দাম নিচ্ছি ২৫০ টাকা। গোলাপের তোড়া নিলে দাম ৫০০-২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়বে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩ উৎসবে মাতবে বাঙালি
শুধু লাল গোলাপ নয়, ফাল্গুন উপলক্ষে লালের পাশাপাশি হলুদ গোলাপের চাহিদাও আছে। এর সঙ্গে বিদেশি কসমস, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা ফুলের চাহিদাও অন্য সময়ের থেকে বেশি।

অনেকে আবার সরাসরি ফুল বিক্রি না করে ফুলের টোপর বিক্রি করছেন। ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফুলের টোপর।
আগের রাতে কেন ফুল কিনছেন মানুষ জানতে চাইলে রনি নামে এক ক্রেতা বলেন, ভালোবাসা দিবস মূলত রাত ১২টার পর থেকেই শুরু। স্ত্রীকে প্রথম প্রহরে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে আগেভাগেই ফুল কিনছি।
শুধু স্ত্রীকে না, অনেকে সন্তান ও বাবা-মায়ের জন্যও ফুল কিনছেন। এমনই একজন ক্রেতা মরিয়ম বলেন, বাচ্চাদের জন্য ফুল কিনছি। ভালোবাসাতো আর শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আবদ্ধ না। এটি অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। আর প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার থেকেও সন্তান ও বাবা-মায়ের ভালোবাসার গাঁথুনি ও গভীরতা অনেক বেশি।
বেশির ভাগ ফুল ব্যবসায়ী আশা করছেন, দিনের শেষে এসে তাদের লাখ টাকার ওপরে মুনাফা হবে। ভালোবাসা দিবসের পর একুশে ফেব্রুয়ারির জন্যও এখন থেকে তারা প্রস্তুত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ